গত কয়েক মাস ধরে দেশে চালের বাজার উচ্চ মূল্যে এক রকম স্থিতিশীল ছিল। তবে এ সপ্তাহে এসে বাড়তে শুরু করেছে দেশের মানুষের প্রধান এই খাদপণ্যটির দাম। বিশেষ করে দাম বেড়েছে মোটা চালের কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, একদিকে ভারত সরকার চালের ওপর বাড়িত শুল্ক আরোপের পাশাপাশি রফতানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে, অন্যদিকে মিয়ানমার সরকারও চাল রফতানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এর প্রভাবে চালের দাম বাড়ছে। যদিও এখন দেশে পর্যাপ্ত চাল রয়েছে এবং আমদানিও কম হচ্ছে। তাই এসব ব্যবসায়ীদের অযুহাত বলে মনে করছেন ভোক্তারা।
চালের সঙ্গে এ সপ্তাহে মসুর ডাল ও আলু কিনতেও বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে নগরবাসীকে। আজ শুক্রবার রাজধানীর বাঝার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চাল ২ থেকে ৩ টাকা, মসুর ডাল কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা এবং আলু প্রতি কেজি ৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
নিম্নআয়ের মানুষ যখন মাছ, মাংস ও ডিম কিনতে হাঁসফাঁস করছেন, তখন দরিদ্র মানুষের ভরসার এ খাবারগুলোর দাম বাড়ায় কষ্টে পড়েছেন তারা। এই বাড়তি দাম তাদের সংসার খরচ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
চাল দোকানিরা বলছেন, সরবরাহ কমায় পাইকারিতেই চালের দাম বেড়েছে। উত্তরাঞ্চলের মোকামগুলো থেকে বেশি দামে চাল কিনে আনছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে, বৃষ্টির কারণে চাহিদা বাড়ার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় মসুর ডাল ধরনভেদে দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। একই ধরনের সরবরাহ সংকটের কথা বলা হচ্ছে আলুর দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবেও।
এদিকে, বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গুটি স্বর্ণা জাতের মোটা চাল বেশিভাগ দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না। পাইজাম ও বিআর-২৮ চাল এখন মানভেদে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ৫২ থেকে ৫৮ টাকার মধ্যে ছিল।
বাজারে ক্রেতারা জানান, তিনদিন আগে তারা বিআর-২৮ চাল কিনেছেন প্রতি কেজি ৫২ টাকা দরে। এখন ৫৫ টাকা। স্বর্ণা চালের সরবরাহ না থাকায় প্রভাব পড়েছে অন্যান্য মোটা চালের দামে। বেড়েছে পাইজামের দামও। তবে সরু চালের দাম বাড়েনি। এখন মিনিকেট ৬৮ থেকে ৭০ টাকা ও নাজিরশাইল চাল ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। যা গত সপ্তাহেও এক-ই ছিল।